Thursday, November 13, 2008

কবি, কফিন আর নির্মোহ আনন্দের উপাখ্যান

লাল সামিয়ানা মোড়া গোধুলির গলিমুখ থেকে নির্গত তোমার শব্দমালা, প্রশ্বাস আর নীলচে বাতাসের মুখোমুখি আমার বেদনাগুলি মেলে ধরতে চেয়েছিলাম, চিলেকোঠার নিষিদ্ধ কপাটের মতো।

গোলার্ধের সমস্ত ক্যালেন্ডার আর নবজাতকেরা এখন ঘুমুচ্ছে। ঘুমের স্বাদ জিহ্বায় নিয়ে এইতো খুলে বসেছি যাতনার উপাখ্যান। হলুদ অ্যাপ্রনের মতো প্রশস্ত সূর্যালোকে দাঁড়িয়ে ভাবো- ভেজানো এই রং-তুলিকে অপেক্ষায় রেখে কতো আর বধিরের সংলাপ শুনবে।

অথবা তোমার নিজস্ব প্রকোষ্ঠের চৌকাঠ-তেলাপোকা মাড়িয়ে ঘরে ঢোকা অতিথিটি নিছক তস্কর। তেমন জগৎ কোথায় বলো, লুকিয়ে ফেলবে তোমার মেঘ, কুয়াশা আর অশ্রুর নরম গল্পগ্রন্থ।

তারচে' কয়েক পুরুষের কষ্টগুলো গুটিয়ে রেখে বসো এই নির্দোষ তক্তপোষে। এই নাও উষ্ণ পেয়ালাভর্তি দরিদ্র মানুষের পঙক্তি। কিংবা এই তস্কর আলোকযন্ত্রকে উপহাস করে তুমি এবং তোমরা হেঁটে যাও। শ্রেণীবদ্ধ প্রাচুর্যের স্তুপে হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রের অটোগ্রাফ অবজ্ঞা করে বড়ই পাতার ছায়াকে হত্যা করো অবিরাম।

তুমি যেই ঘ্রাণের পোট্রেট এঁকেছো অশ্রুর দেয়ালে দেয়ালে, সেখানে এখনো মিকেল্যাঞ্জেলোর ভেজা তুলি কাঁদছে। কোন দরিদ্র বেদনার খোসা এই উর্বরভূমিতে ছড়াতে নেই।

তোমার কয়েকটা হাসি আর এক টুকরো বিকেল দিয়ে একবার শুধু হদিস করো এইসব হরিৎ ফুলের নিজস্ব স্বদেশ। অথবা নির্বোধ তোতাপাখীর মতো শিখিয়ে দাও শেষকৃত্যের আদিম মন্ত্রাবলী।

No comments: