Thursday, November 27, 2008

জেগে থাকা মানেই অদ্ভুত রক্তমাংসের পঙক্তি

ধুলিসড়ক, রঙমহল আর অন্ধকারের পোড়াগলি হামাগুড়ি দিয়ে পেরিয়ে এসেছো তুমি। উদ্ধত পদ্মের মতো জেগে আছো এই গোলাপী প্রাসাদের জঙলায়। কে তুমি প্রলংয়করী? তোমার রহস্যে কাঁটা হয়ে গেছে কাগজবাহী নৃতাত্ত্বিক মানুষেরা।

নেপোলিয়ন অশ্বক্ষুরের মানচিত্র বাতাসে উড়িয়ে দিয়ে আমরা মাড়িয়ে এসেছি সহস্র রক্তশরীর। শুঁড়িখানার সমস্ত ঘ্রাণ ছিঁড়ে ছিঁড়ে এই উত্তপ্ত উজ্জ্বল বালিয়াড়িতে এখন ঘুমোবো আমরা। শরাবের মুখর জোসনায় এইসব পরিশ্রান্ত শবদেহদের জাগিয়ে দিওনা আবার।

কোত্থেকে তুমি শিখে এসেছো ঠোঁট আর চোখের সমস্ত যাদুবিদ্যা? তোমার বজ্র আর বিজলীতে আরো একবার ঝলসে গেছে লাল সামিয়ানা, ক্ষুধার্ত শবদেহ আর সুগন্ধী পলেস্তারার মিছিল।

খসখসে অশ্মত্থের চাদর বেয়ে আমি নেমে আসি কখনও সখনও। অশ্রু আর বেদনা দিয়ে শুকনো খাবার কিনে হারিয়ে যাই আঁধারের কুয়াশায়। এই প্রত্ন-পান্ডুলিপির নির্জন কোটরে লুকিয়ে এবার তোমার ঘ্রাণ আর পুরনো শরাব নিয়ে গেলাম।

1 comment:

Fazle Elahi said...

বৃশ্চিক নিশ্চয়ই! একটা যাদুময় আকর্ষণ আছে লেখায়, সবসময় অনুভব করি।