নীলরঙা পোট্রেট, বাচাল জনপদ আর বধির সময়ের পাশে এখনও কি ভেঙে পড়ে নির্বোধ রাত, পদ্মার তিতকুটে পাড়ের মতো? কেমন আছে নুলিয়াছড়ির ঘুমপাহাড়? অথবা সজনে বন ভাসিয়ে কান্নার দ্বিখন্ডিত প্রস্রবণ এখনও কি জেগে থাকে নির্জন সাপের মতো ভয়ার্ত সচকিত?
এইসব প্রশ্নের প্রসাধন খসে পড়ে তোমার অশ্রুরিক্ত ভূগোল থেকে। তুমি কোন নক্ষত্রের গোলার্ধ ধরে আস্তিন গুটিয়ে হেঁটে যাও জানি না। তবু তোমার প্রশ্বাসের লবণে ধসে যায় প্রশান্ত কুটির।
আমি তো এক প্রলম্বিত স্বপ্নের টুকিটাকি তৈজস কুড়িয়ে জড়ো করেছি বহুদিন। এখন এই লাল পলেস্তারা আর সর্বশান্ত সমতটি গল্পের পাশে অপেক্ষার আসন পেতেছি। মরুভূমির ঢেউ বেয়ে সঙ্গিত অথবা কফিনের বহর আসলে আমিই তার গোপন সঙ্গী হবো।
বিবিধ পানপাত্র-কথামালায় একদিন হাশিশের তীব্র ঘ্রাণ এনেছিলে তুমি। বিভ্রম তৃণভূমির অন্ধকারে এত সহস্র রাত কিভাবে হারিয়ে গেছে, হদিস হয়না। কুয়াশা আর নক্ষত্রের পঙক্তির নিচে এখন শুধু লিখে চলা সেইসব নির্মোহ বাসরের গল্প।
এই পদশব্দ, নিশ্বাস আর বিভ্রান্ত অক্ষরমালা আমি ভেঙে দিতে চাই। আমার ক্রুদ্ধ সটান তর্জনি থেকে নিক্ষিপ্ত শরের মতো গোধুলির লালিমায় ফিরে যাও তুমি। নিজস্ব বিষাদ অন্ধকারে আবার আমি তীব্রভাবে বাঁচতে চাই।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment