Thursday, December 14, 2006

বিষণ্নতা কেবলই, তবুও স্বপ্ন...


বড় দুঃসময় চারদিকে। স্পিöন্টার, অপপ্রচার, দুর্গন্ধ, দূর্নীতি, ধোঁয়ায় বাতাস ভারি। নদীগুলো খটখটে। কানাইলাল নৌকার কাঠগুলো ভেঙে রান্নাঘরের তক্তা বানিয়েছেন। অনেকদিন হয়ে গেল। শফিক কলেজের বিপ্লবী ছাত্রনেতাদের গুলি হজম করতে পারলোনা। পত্রিকার মেজর হেডলাইন হয়ে গিয়েছিল। গোরস্থানের খুব বিষণí একটা জায়গায় এখন ওর কবর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রির সার্টিফিকেটটা খুব যতí করে লেমিনেটেড করে রেখেছে লিটন। কয়েক জোড়া জুতা করেও সার্টিফিকেটটা ব্যবহার করতে পারেনি। কুষ্টিয়ার খুব প্রত্যন্ত একটা গ্রামে মুরগীর খামার নিয়ে আছে এখন। খুব হঠাৎ হঠাৎ ওর হাতের লেখা হলুদ খাম হাতে আসে। পুরো চিঠি জুড়ে বিষণíতার গন্ধ।

আমার ভালবাসারও এখন যাচ্ছেতাই দুর্দিন। বসন্তের ছোঁয়াচ লাগা নাতিশীতোষ্ণ আবহ এখন ঢাকার বাতাসে। একফোঁটা মেঘ নেই আকাশে। জল আর রক্ত ঝরানোর সবটুকু দায়িত্ব এখন তাই আমার। সর্বণ রক্তরণ। মন করে মরণ মরণ। অনিয়মের আর দেখেছো কি হে মানবসমাজ! তোমাদের সবাইকে আমার ছোট্ট কুঠুরিতে নেমন্তন্ন। অনিয়ম দেখার নেমন্তন্ন। এসো প্লিজ সবাই! ভাবছি ঘরের দরজায় শিরোনাম এঁটে দেবার সময় হয়েছে- çএখানে একজন অনিয়ম বাস করেÿ

সামহয়ার ইন ব্লগে আজই প্রথম লিখছি। আশংকা হচ্ছে শুরুতেই একপাল মানুষের বিরাগভাজন হয়ে যাচ্ছি কিনা। অলরেডি দলা দলা বিষণíতা ছড়িয়ে দিয়েছি মনে হচ্ছে। এখন পোস্টমডার্ণ সময়। বিষণíতার ভাত নেই। বিষণíতা ছিল মডার্ণিস্টদের বাতিক। পোস্টমডার্ণরা হলো জলি মাইন্ডেড। ইন রিয়্যালিটি অর ইন প্রিটেনশান। হোয়াটএভার ইট ইজ। এনিবডি হেয়ার? হেল্প মি শেডিং আউট মাই গ্লুমিনেস? হাঃ হাঃ হাঃ। দ্যাটস পারহ্যাপস নান অব ইওর বিজনেস। দেয়ার ইজ ওনলি ওয়ান হু ক্যান হেল্প মি কিউরিং। এ্যান্ড শি নোজ দ্যাট। আই কল হার çলাভÿ

গন্তব্যহীন মানুষের গতি শ্লথ হয়। আমি এখন শ্লথ হয়ে গেছি। থ। লেখতে বসে ভেবেছিলাম বিষণíতার দেয়ালটা চট করে টপকেই স্বপ্ন দেখার গল্প জুড়ে দেয়া যাবে। কিন্তু টের পাচ্ছি বিষণíতার চোরাগলিতে একবার ঢুকলে সময়টা কেমন অসীম হয়ে ওঠে...
ঘুমে চোখ চায়না জড়াতে
আজি এই বসন্তের রাতে
সারারাত জেগে জেগে শুনি....
স্পেসিফিক লাইনটা মনে নেই আর। ব্যপারটা হলো সারারাত জেগে ঘাই হরিণীর ডাক শোনা। জীবনানন্দের çক্যাম্পেÿ কবিতার লাইন। সুন্দর কবিতা। আমিও এখন সারারাত জেগে এক দুরগামী ঘাই হরিণীর কস্তুরির ঘ্রাণ শুঁকি। অস্থির হয়ে শুঁকি। প্রতিদিনই টের পাই এরকম আরো অনেক লাইন জীবনানন্দ স্রেফ আমার জন্যেই গেঁথেছিলেন। আমার শিরায় শিরায় বিষণíতা ঢেলে দেওয়ার কিছু দায় অতি অবশ্য জীবনানন্দেরও আছে। দায় আছে সাহিত্যিক মামুন হুসাইনেরও। ঠিক মতো দায়গুলো ভাগ করে দিলে আমিই বরং বেঁচে যাবো মনে হচ্ছে। হাঃ হাঃ হাঃ।

ব্লগে কমেন্ট লেখার একটা ব্যপার আছে। যা লিখেছি তাতে কি ধরণের কমেন্ট জুটবে (যদি আদৌ জোটে) অাঁচ করতে পারছি কিছুটা। çআঁতলামির আর জায়গা পায়নি!ÿ হাঃ হাঃ হাঃ। লেখাটাকে লম্বা করছিনা তাই আর। শুধু শেষ বেলায় একটা কথা- স্বপ্ন দেখুন! নো ম্যাটার হয়্যার ইউ আর। ড্রিম প্লিজ সিটিং ইভ্ন ইন বুশফায়ার।

No comments: