এরা সেই গাঁটছাড়া রঙিন মানুষ
দন্ডিত অপুরুষ কেউ, কেউ অনারী প্রতিষ্ঠিত
গ্রহান্তরের তপ্ত ধুলো দিগন্তে উড়িয়ে এসে
এরা গোল হয়ে বসে ঘাসের জাজিমে
চারিদিকে রাজনৈতিক শব্দ-গন্ধের ঝাঁঝ
বাতাসে চর্চিত কার্বণ
টুকরো টুকরো ছড়ানো পর্দায়
নিত্য নিহত হয় অপু আর দুর্গার কিশোর সময়
আর সাদাকালো ক্যানভাসে বেহালার সুর
অনাথের ক্ষুধার তাপে পলকে বাস্প হয়
গাদা করা ন্যাপথলিনের ঘ্রাণ...
রঙিন ঠোঁট, আনন্দ-মথিত কিংবা অভিমানে কাঁপা
সব ডুবে চায়ের দ্রবণে
সদাগরি চামচের টুংটাং জাগছে কোথাও
আর যৌথ হল্লার টগবগে ছন্দে
পঙ্খি-ঘোড়ার পিঠে উড়েই চলেছে সেই বধির সময়
বিকেলটা খসে পড়ে শুকনো আলোয়
আঁধারের বালিকারা হাঁটছে এবার
আর কি দারুণ বিস্ময়!
কোন এক কাঙালের বাঁশির তীক্ষ্ণতা
আশ্চর্য কেঁপে কেঁপে হঠাৎই
নরম ছড়িয়ে পড়ে চিরল পাতার কানায় কানায়...
আমি কিন্তু কাঁদতে বসি
সহস্র যৌথ কণ্ঠের এই ছন্দিত হল্লা
সন্ধ্যার ক্যানভাসে আঁকে গোপন বেদনা
মহাকাল পাতা উল্টায়
পাতা উল্টায় তৃষিতের, ক্ষুধিতের
মগ্ন শব্দ শুনি তার, আর দেখি
জগতের বিষাদময় প্যারাডক্স যেন
কুরোসাওয়ার মত গুটি গুটি ডায়েরি লিখে চলেছে
ডায়েরির পাতা থেকে লবণাক্ত দৃষ্টি তুলে
কখনও যদি আনমনে সামনে তাকাও
দেখবে, বেগুনি ঘ্রাণে বদলে যাচ্ছে জগতের জ্যামিতি যত
মনে রেখো, ওটা পিকাসোর ক্যানভাস...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment