ঘোলাটে কুমারী জল দিনলিপি ভাসিয়ে নিলে
আমরা অপেক্ষায় থাকি অতঃপর
ভূমিকম্প, ভূগোল আর কয়েক গেলাস শুভ্র উষ্ণতার
ঔপনিবেশিক জলযান-হুইসেল ঘুমিয়ে তলিয়ে গেলে
শিরিষের আড়াল থেকে উৎক্ষিপ্ত হবে যে বিষাক্ত শর
তার তীব্র প্রতীক্ষায় থাকে বুকের আদিম কেশর
অপেক্ষায় থাকে
মোহগ্রস্থ সেই প্রত্নতাত্ত্বিক মৃত্যু-তৃষ্ণায়
পৃথিবীর সমস্ত অবরোহী সিঁড়ি চুঁইয়ে
অনন্তকাল নামতে থাকলে আরাধ্য অবয়ব
কিংবা তীব্র কুয়াশা-গর্ভে
দিক ভুলে বসে থাকা আরব্য মিকেল্যাঞ্জেলো
কৃষ্ণ ছায়াসকল, প্রেম, নতজানু পত্র-পত্রাবলী
সকলি খসে পড়ে চক্রাকার লালচে আঁধারে
সকল প্রশস্ত হাত অঝোরে ঝরতে থাকে
বাদামী বৃষ্টির মতো
একে একে লেখা হলে সমস্ত চন্দ্রগ্রহণের গল্প
হাত থেকে খসে পড়ে খড়িমাটি, টি-শার্ট, কনিষ্ঠের হলুদ কামিজ
আর প্রয়াত ইতিহাসের কব্জি কামড়ে তখন
শহরময় ঘ্রাণের জগতে গড়িয়ে যায় গাদা গাদা উচ্ছ্বল সময়
সন্ধ্যা, মিছেমিছি নেমন্তন্ন আর বিষদ-বিষাক্ত শব্দক্ষয়ে
মোহাবিষ্ট হয় কেউ, কেউ হয় তন্দ্রাহত
কেউ ফের বিষণ্ন অতীতভ্রষ্টতায় ডুবতে ডুবতে
বিচ্ছিন্ন তামাটে দ্বীপে একাকি দাঁড়িয়েই থাকে অনন্তকাল
প্রখর বিভ্রমে অযুত গ্রহণ-বলয় মহাকালে মিলিয়ে গেলেও
স্বপ্নের রোদ্দুর তবু ঝরতেই চায় না যেন আর..
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment