Thursday, October 23, 2008

নিঃসঙ্গ রাত্রির সাথে কথোপকথন

ক্লান্ত ছায়া কারো গড়িয়ে নামে কাঁচের দেয়ালে
আর রাত গভীর হয় অমাবশ্যার মতো
সেঁধিয়ে যায় ব্ল্যাকহোলের থকথকে অন্ধকারে
শহরের মিনারে চড়ে দৃষ্টি আমার
চুরি করে ঘুরে দেখে রাতের আকাশ
ওখানে ক্ষুধা নেই, জলের গেলাস নেই
নেই প্যারাট্রুপারের মতো স্বপ্নের সুতীব্র পতন
কেবল নিঃসীম মেঘের তৃণভূমি
অশ্মথের ছায়ার মতো ছেঁড়া ছেঁড়া, রহস্যময়
সাদা আলোর রথে অগণিত আত্মা যেন তীর্থের পথে...

নির্বোধ পৃথিবী কেন দিগন্ত খাঁমচে আনে রাত আর দিন
গোধুলি কেন জাফরান আগুন ঢালে নদীর থালায়
কঙ্কাল বৃক্ষের চামড়া গ'লে গ'লে
যে জোছনা ভিজিয়ে রাখে ঘাস আর বিষাক্ত বুনোফুল
সেখানে কেন হিসহিস ফুটতে থাকে ময়ালের পদচ্ছাপ
কেন এইসব দুর্বোধ্য সংকেত, সৃষ্টির কোটরে কোটরে
কেন এইসব শ্যাওলার মতো প্রগাঢ় রহস্যসম্ভার...

যাদের জীবন জোনাকির মতো
নিকষ কোন সন্ধ্যায় তীব্র জ্বলে জ্বলে
যারা কালো পাথরের মতো অজানায় ঘুমিয়ে যায়
তারা চায় এইসব শহরের নির্ভুল দেশান্তর
যদি ভেসে যেতো এইসব নিয়ন, প্রাসাদ আর কোলাহল
যদি উল্কাপাতে জ্বলে যেতো আদিম কৌতুহল
শিশুদের গালে আগুনের লাল কারুকাজ
আর অন্ধকারের শিরশিরে লতাপাতা
হাত বাড়ালেই ধরা যায় মেঘের মাখন শরীর
অশ্রুর মতো ভেজা, আর হিমহিম হেমন্তের মতো
মেঘের ওপরে হলদে ঘুড়ির আকাশ, ধনুকের উত্তল ছায়াপথ
ঈগলের আঁচড়ে বন্য গন্ধ মাখা ঘুর্ণি বাতাস
বাতাসের এই উন্মত্ত ডানায় ভেসে চলো
একসাথে ডুব দেয় সিন্ধুর প্রখর স্রোতে
হাতের তালু মিশিয়ে পান করি
জীবনের বঙ্কিম ঝাঁঝাঁল স্বাদ...

1 comment:

Anowar Hossain said...

দুষ্ট ক্ষুধা
-মোঃ আনোয়ার হোসনে

বেশ ক্ষুধা লেগেছে।
কিছু খেয়ে নে যা তা।
পাব কোথায় তা তা?
খুঁজে দেখ পারি তাহা।
দেওনা যা তা।
এ্ই নে খা!
মুখ পাতলে যে!
চুমু খেতে দিলাম তোকে।
আমি কী চুমু দেব?
চুমু দাও, খাই!
আবার দুষ্টমি, মাইরি বাপ
করে দে মাপ।
আর কখনো চুমু দেব না।
এইটাই প্রথম এইটাই শেষ।
আর কখনো খাব না।
মাইর দিবো না, মাইর।
দিতে যদি চাও তাহলে ইতি।
দাও, দিতে পার তবু।
তো সেটা তোমার ব্যাপার!