কষ্টগুলোকে বিনয়ী কনিষ্ঠের মতো কাছে ডাকো কেবলি
কারিগর আঙ্গুলগুলো রক্তাক্ত হয় তাতে,
রক্তাক্ত হয় তালিকাভুক্ত বিকেল, গন্ডদেশ, নিজস্ব স্বজন
হেমন্তের শহরে শহরে পায়ে হাঁটা বালিয়াড়ি পেরিয়ে যাও তুমি
ঘ্রাণ নাও তীব্রভাবে, নিকোটিন আর দুর্বোধ্য দ্রবণের
হয়তো দৃষ্টি আর কল্পনা একান্তে কাঁদছে এখনও, থেকে থেকে
তুমি আর তোমার শরীর- কথা হয় পরস্পর..
ঠিক আছে আরেকটু হাঁটা যাক...
তুমি ভাবো- আবেগের সোনালী চপ্পলেই অনায়াসে পৌঁছে যাবে
ইতিহাস-দর্শনের ছাইচাপা বিবর্ণ যাদুঘরে
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারবে মৃত্যুর প্রত্যন্ত ভীষণ দুর্গ প্রাকার
কিন্তু মানচিত্রে মরুদ্যান নেই, নেই ছায়ার শরবত
এখনও প্রয়াত শব্দস্রোত নিত্য ভাঙছে দ্যাখো চেতনার ব্যরিকেড
পাহাড়, নদী আর দুর্বোধ্য দুর্গম গুহাচিত্রে উপচে পড়ছে কাগজের কার্ণিশ
বলি কি, দরপত্র-হ্যান্ডব্যাগ রেখে জিরোতে হবে তোমাকে,
আঁচল আর অলসতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে পড় এখানেই,
ঘন এই প্রাচীন অশ্মত্থের দাওয়ায়
তারপর যদি গাছের পাতা চুঁইয়ে তীব্র ঘুম নামে, ঘুমিও ভীষণ
গ্রামজ রসদ সব বিলিয়ে দিয়ে বাতাসের মিনারে মিনারে
আমি অপেক্ষায় আছি তোমার বৃষ্টিমাখা তীব্র ঘুমের
স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে তারপর যদি ঘুম ভাঙে কোন লালচে নগরে
তবে অন্তহীন পথ-হাঁটার সুযোগ হবে আরেকবার
মৃত্যুর লাল উত্তাপে গ'লে যাওয়ার আগে
সে মহাযাত্রার আর কোন যাত্রাবিরতি নেই...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment