লাল চামড়ার ব্যাগে বয়স আর পুরনো শহর নিয়ে
ইটের ছায়াপথে কতদিন বলো হাঁটবে তুমি আর
ইতিহাসের ঝড়ের পরে শান্ত হয়েছে অনেক পুরণো নিঃশ্বাস
তারা আজ অন্ধকারে, মহাকালের পরম স্বজন
পুরানের এক ঝাঁপি ওরা একদিন খুলেছিল এখানেই
এই ফুটপাতের গহীন কষ্ট থেকে এখনও উথলে ওঠে
সেই পুরাণ, অপক্ক বকুল আর সোঁদা কাগজের ঘ্রাণ
সন্ধ্যার এই রেল, বিজলিবাতি, বাতাবিনেবু
ঝাউবাগানে দুলে দুলে হারিয়ে যাওয়া নাটাইছেঁড়া স্বপ্ন
সবই তো বাস্প হয়েছে ফিনাইলের ঘ্রাণের সাথে
তবু, পায়ের আওয়াজ তোমার বাতাসের ডানায় ভেসে
আজো ঠিক থমকে থাকে পুরনো সেই মাঠের শিয়রে
আমিতো দেখি, সবখানে শুধু পুরণো সৌম্য মিছিল
সার বেঁধে দাঁড়িয়েছে আত্মমগ্ন লাশের কাতারে
লোবাণের ঘ্রাণে উড়ে গেছে শৈশব, নিস্তব্ধতার কোলাহল
নির্জীব বিষণ্নতায় ঘরে ফিরছে যে নতমুখী সন্তান
আস্তিনে তার গহীন মাটির ঘ্রাণ, ভেজা, উষ্ণ
তবু ফের সকালের জানালায় পাখিরা আসছে উড়ে
দেখো মা! তোমার সবুজ আঁচলে সকালের রোদ এড়িয়ে
বাতাসের গভীর ঘ্রাণে উঠছে জেগে আশ্চর্য বিপুল জীবন...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment