খন ছিল ঘুমন্ত দুপুর, আর শতাব্দিও নতুন প্রায়
মিথ্যা চাল-ডাল, টক-শো, রিক্সার বেদম টক্কর
একটা অদ্ভুত ঘিঞ্জি শহর জুড়ে সব আছে প্রচুর,
বহু আগে ফেলে আসা পুরনো সন্ধ্যা-শিশিরের মতো
একদিন কিন্তু সময় ছিল ভীষণ অন্যরকম
মাঠ জুড়ে সবুজ-হলুদ ঘাস আর ধানের অবশেষ
একা একা ঠান্ডা হতো বিকেলে- সন্ধ্যায়
ডানপিটে ছেলে-ছোকড়ারা দৌঁড়ে যেতো হঠাৎ
পুরনো একটা মাঠ জুড়ে হৈ-চৈ আর মুক্ত জীবনের ঘ্রাণ
অনেক লাল স্যুয়েটার আর ঘুড়ি-ঘুড়ি আকাশ কেবল
আবার বকেরা দলছুট আগন্তুক হতো ঠিকই
অর্ধচক্রাকারে উড়ে যেতো ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের ভাঁজে
ওখানে অনেক নারিকেল-সুপুরির দেশ,
শিশু-মেহগনির কল্পলোকের সবুজ পাতারা
শীতের বাতাসে কেমন ঝরছেতো ঝরছেই
জলপোকার ঝাঁক ছবি আঁকছে শান্ত কালো জলে
আর দুলতে দুলতে নেমে আসা শুকনো ঘোলাটে পাতায়
ঢেকে যাচ্ছে হলুদ রঙচটা ঘর-গেরস্থালির প্রতিবিম্ব
এইসব ছায়াছবি কবে যেন চুপি চুপি কাঁদতে থাকে
খুন-খারাবি, ভোট, বোমা, ক্রিকেট আর
তুমুল ধরপাকড়, হরতাল, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস কর্মী
এসব শব্দের তুমুল ঘর্ষণে একদিন
সবুজ ঘাসপাতায় আগুন জ্বলে ওঠে
আমরা যারা বিবিধ ক্ষুধা গিলে গিলে
অনর্গল ফুটপাত ধরে হাঁটতে শিখেছিলাম
মসৃণ গাড়ির ধোঁয়া আর ইঞ্জিনের উত্তাপে
তাদের অশ্রু কবে যেন শুকিয়ে নিঃশেষ হয়
তারপর একদিন মঞ্চ-নাটক, রবীন্দ্র সরোবর, টক-শো
রিকসার চাকা, ফুচকা, সুপারমার্কেট, বিএমডব্লিউ
ফ্রেন্স ফ্রাই, বাণিজ্য মেলা, চারুকলা, বেইলি-রোড
ইত্যাকার মিলেমিশে ভীষণ ভুলিয়ে দেয়
ফেলে আসা কুয়াশার অসম্ভব কোমল সব গান...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment