কত-শত চিঠির মতন, ভেজা কদমের সন্ধ্যা
শিয়রের পাশ দিয়ে সমুদ্রে মিশেছে
গুনতে পারি না আর
দিন তো কমছে কেবলই...
দীর্ঘশ্বাস রাখবো কোথায় জানা হলো না আজও
তবু ক্ষুদ্র হাতের মুঠোয় লেখা হয়ে থাকে
সমুদ্র আর আকাশের প্রবীণ আখ্যান
পরিচিত ঘ্রাণের চৌকাঠ ভাঙবো বলে
হেঁটেছি যে জঙলার বিজন রাস্তায়
সেখানেও দেখি ধুম্র ধোঁয়ার ভিড়
লালচে চায়ের দোকান, মরচে আসবাব
আর কী অদ্ভুত!
এখানেও তীর্থযাত্রী কতক
হাশিশের নরম বোতল বাড়িয়ে ধরে বারবার
আমি তো এসেছি দূরের সবুজ থেকে
যেখানে তাল আর সুপুরির ভিড়ে সন্ধ্যাজোনাকি
ভেজা মাটির গভীরে লালনের ঘ্রাণ
আপন অতলে ডুবে সেখানে শুধু উড়তে শেখা...
উড়ে উড়ে কেউ রঙধনু হয়, কেউ হয় শঙ্খচিল
কেউ সূর্যের সাথে সাথে
নরম সন্ধ্যার পেটে হারিয়ে যায় চিরতরে
এসব উপাখ্যানই ঘুরে ফিরে চোখে পড়ে
নির্জিব করে দেয় স্বল্পায়ু চেতন
তৃষ্ণারা জমে জমে পাহাড় হয়
শীতল শরাবের লোভে পুরনো দেরাজ খুলি
মনে মনে বুঝি
এইসব স্মৃতির সাগরে পালিয়ে, লুকিয়ে
সহজ আয়েশে
পার করে দেয়া যায় দু-একটি অতিশয় তুচ্ছ জীবন...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment