কখনও প্রজাপতির মতো উচ্ছ্বল সন্ধ্যা নামলে
শহর আর শরাবের তীব্র ঘ্রাণে ঘুম ভাঙে আমাদের
পুরাণের গভীরে খোদিত চোখ, চোয়াল আর অন্ধ বাঁশিঅলা
আমাদের ডেকে নেয় বিভ্রম প্রমত্ত প্রান্তরে
জীবিকার চক্ররথে ভেসে যেতে যেতে
আমরা দেখতে থাকি বেশুমার কংক্রিট
আর সুলভ সত্যায়িত সন্তানের মিছিল
শিরিষের আলোর কান্না ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলে
উদ্বাস্তু ফেরিঅলা, কিশোরী, সন্ধ্যা-নক্ষত্র
সব ঠিক মেলে ধরে পরাবাস্তব গল্পজগৎ
প্রথম ইতিহাসের বয়স্ক অক্ষর নিয়ে
দিগন্তে ঝুলে থাকে রক্তগন্ধী ব্ল্যাকবোর্ড
চারদিকে তখন কেবল
পূর্বসূরীর মিথুন গল্পে থকথকে বিভ্রান্ত তামাটে অতীত
কখনও আবার যদি নিছক কাঁদতে শেখে
পাঁচশ’ রঙিন আঙুল, ভাস্কর, আর অসীম উষ্ণ বাতাস
তবে এক বিষণ্ন শহরতলী, একমুঠো মানুষ
আর কতক মন্থর মৃত্যুগাঁথা গভীর আচ্ছন্ন করে আমাদের
আর সৃষ্টির সমস্ত কুহক অ্যামাজন সাঁতরে
আমরা সহজেই নিমগ্ন হই এক স্পপ্নভ্রষ্ট নিষিদ্ধ তন্দ্রায়...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment