প্রথম দেখেছিলাম তাকে
দুপুরের পাটাতন থেকে পিচঢালা রাস্তায় গড়িয়ে যেতে
তারও আগে নিয়ন নগরে
যেখানে ঘ্রাণ আর কুজনের সেলাই চলে
কৃত্রিম আলোতে চলে
একঘেয়ে নাটকের নিখুঁত অভিনয়
সেখানে মগ্ন চৈতন্যে শুনেছি প্রথম পদশব্দ
যার কাঁচভাঙা চিৎকারে গ্রহণ লেগেছিলো
সেদিনের প্রধান নক্ষত্রের...
তারও পরে হাঁটি হাঁটি করে
সাঁঝের গন্ধ-মাতাল অগণিত কন্ঠস্বর
দুলে ওঠে কোরাস আবাহনে
প্রলম্বিত শুষ্ক প্রহর শরাবে ডুবতে থাকে মন্থর
বিদায়ের অন্ধ ভেজা প্রহরে
বর্গাকার শিল্পকর্মের মতো দাঁড়িয়ে থাকে সে
সহজাত শব্দমালা ক্যালিগ্রাফী হয়ে
তীব্র সুঘ্রাণের ঘায়ে দুমড়ে মুচড়ে
বাতাসে মিলিয়ে যায় অকস্মাৎ
আবার সে ফিরে আসে বর্ষা বিকেলে
প্রাণোচ্ছ্বল উড়ে যায় টেরিকাটা শহরের প্রান্ত এঁকে
ইতিহাসের রেসিপি থেকে কৃত্রিম মেন্যু ছুঁয়ে
নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকে সর্বহারা বাতাসের মুখোমুখি...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment