Thursday, October 23, 2008

মৃত্যুপুরাণ

আমাদের অস্তিত্ব উদ্দাম হয় বাতাসের অন্ধকার দমকে
আর ভীষণ চাউর হলেও সমস্ত শহুরে স্বাদ-গন্ধ
নাগালের ওপাশ দিয়ে উড়ে যায় বহুতল টাওয়ারের দিকে
তবু কী যে হলো মধ্য সকালে আজ
শরাবের পিপেয় জমানো শিশিরের নোনতা জল
ঝরঝর ঝরে চলেছে সবুজ বৃষ্টির সাথে

মহাকালের নোটবুকে টুকে রেখেছি এইসব হলুদ দিনলিপি
জানি, আজ কলঘর কাঁদবে সারাদিন
রক্তশূন্য এক ফ্যাকাশে মানবের স্মরণে
যার নরম বেদনাহত চোখ লবণ মিশিয়ে গেছে
অনাগত গভীর সরোবরে, ঘোলাটে প্রস্রবণে

আজই আমি চিঠি পেলাম অন্ধকার মেঘমালার
বার্তা পেলাম নিষিদ্ধ বিষবৃক্ষের, ঝরা পাতার
আর মধ্যরাতের ঠান্ডা ঝুলি ছিটকে বেড়িয়ে পড়া নৈঃশব্দের জটাজাল
আমাকে শাসিয়ে গেলো ভীষণ রকম
হয়তো বেদনা অনেক, হয়তো মুখ গোঁজা উটপাখীর মতো
অসহায় হিংস্র গহীন ভেতরের কেউ
হ্যাঁচকা টানে ছিঁড়ে খুঁড়ে গেছে রক্তাক্ত আত্মপরিচয়

নিত্যদিন এক নিঃস্ব-কাতর মৃত্যুযন্ত্রণা দেখতে দেখতে
কবে যেন রাজসাক্ষী হয়ে গেছি আমি
আর আপন মনে দাঁড়িয়ে আছি এক কল্পিত পাহাড়ের পাদদেশে
একদিন ঠিক নিঃশেষ গড়িয়ে নামবে এক প্রাণহীন স্বপ্নশব
আর আমি ওর শিয়রে দাঁড়িয়ে অশ্রুদগ্ধ অট্টহাসিতে ফেটে পড়বো...

No comments: