কখনো অস্তিত্ব আমার উথলে পড়ে
প্রহর আর প্রস্থানের পিছু পিছু
কখনো আমিত্বের ত্বক আর মাংসপিন্ড
যাতনার বিষবাষ্পে ভস্ম হয়
অসার কঙ্কাল হয়ে হাঁটি আমি
এক মৃতপ্রায় চৈত্রের নরম হাত ধরে
বধ্য-দুপুর কিংবা প্রবাহমান নক্ষত্ররাতে
আলো-ছায়ার সিগন্যালে ক্যালেন্ডার নাচে, সময় নয়
পৃথিবীর সমস্ত দগ্ধ আকাশ বুকপকেটে ফেলে
চকচকে বর্শার ইশারায় ছুটে চলে সে
অশরীরি রানারের মতো
সভ্যতার সতের হাজার চোরাগলিতে দাঁড়িয়ে
অস্তিত্বকে জানতে চেয়েছি আমি
বুঝতে চেয়েছি সময়ের রঙ আর উষ্ণতা
কোথায় আকাশ আর শূন্যতার নিবিড় আলিঙ্গনে
অসার হয়ে থমকে দাঁড়াবে সময়?
অবহেলায় খসে পড়া আপন অস্তিত্বগুলোকে
ঝরে পড়া বোশেখী আমের মতো
কাড়াকাড়ি কুড়িয়ে পাবো কোথায় আবার?
সভ্যতার চোরাগলি কথা বলেনি
আর বধ্যভূমিগুলোর আড়াল থেকে উঠে আসা
সাদাকালো চেহারাগুলো
আমার অর্বাচিন প্রশ্নমালাকে চাবুকে রক্তাক্ত করে
আত্মমগ্ন হারিয়ে গেছে অকস্মাৎ
ইতিহাসের ধুলো জমা পাতায় পাতায়...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment