মরচে বন্দুক ছিল আমাদেরও, ধুলোজমা তক্তপোষে
মাটি, বৃক্ষ আর পড়শি বদলের কালে
অসহিষ্ণু ঘোড়ার শাবক লাফিয়ে উঠেছিল সেদিন
এই লাল পাহাড় আর নরম পলিমাটির গাঁয়ে
আর অসমাপ্ত ক্যানভাস বিছিয়ে রেখে অশ্মত্থের উঠোনে
আমরা প্রতীক্ষায় ছিলাম উজ্জ্বল সবুজ রঙের
অপেক্ষায় ছিল পঞ্চাশ হাজার পিঁপড়ের জ্বলন্ত সেনাবাহিনী
রাইফেল কাঁধে ইটের শুঁড়িখানা পেরিয়ে গিয়েছিল তারা
নেপোলিয়ন আর ওয়াশিংটনের সন্ত্রস্ত বাহিনীর মতো
ভেষজ পাতার আড়ালে সেদিন মুখর করতালি ঝরেছিল
আফ্রিকার নৃত্য আর উন্মত্ত যুদ্ধবাজনার তালে
ছুটির আইল ধরে কেবলি গ'লে যাচ্ছিল আগুন
সমতট ইতিহাসের সবচে' প্রবল সে দাবানল
জ্বালিয়ে দিয়েছিল ভাড়া করা স্পার্টান নৌবহর
নৌযান পাটাতনে দগ্ধ খড়ি হয়েছিল লবণের ঘ্রাণ,
প্রশান্ত ঘুর্ণি আর প্রবাল দ্বীপের প্রশস্ত দীর্ঘশ্বাস
সমুদ্র-পুরাণের পাতায় পাতায় হতবাক দাঁড়িয়ে গিয়েছিল
উত্তর গোলার্ধের বিবস্ত্র নাবিকেরা
পদ্মার সূর্যাস্তে একদিন যে শান্তির শ্লোগান উঠেছিল
তার প্রতিধ্বনী বেজেছে রাইন আর ভলগায়
দানিয়ুব বাড়িয়েছে সমর্পিত ডানার মাস্তুল
লাল সেনাদের ভিড় থেকে শুধু তোপধ্বনি কেঁদেছিল একবার
লাল ফানুসে ভেসে ভেসে বলে গেছে সফেদ স্বর্গদূত
গ্রীক কিংবা ব্যবিলন, যা পাও দৃষ্টির নাগালে
নির্দ্বিধায় জড়িয়ে নিও বুকের গহিনে
ওরা সব এক অবিমিশ্র পূর্বপুরুষের চিত্রময় উপাখ্যান
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
1 comment:
বালিকার নরম চড়
-মোঃ আনোয়ার হোসেন
তোমাকে আড়াল থেকে দেখি বলে
কত বার বকেছ কত কথা কয়েছ।
ফর্সা হাতে নরম চড় খেয়েছি কতবার
সে কথা ভূলে যাই বারবার একাধার।
আমি সুখী হবো প্রতিদিন খেতে পারি
যদি চড় তোমায় হাতে সাত বার।
তবু তো আমার এ অধম নরম গাল
চড় খেয়ে ভালোবাসা খুঁজে বারেবার।
তোমার নরম হাতের চড় খেয়ে ধন্য হব
যদি তুমি নরম হাতে চড় মারতে পার একবার।
পাড়ায় পাড়ায় বলে বেড়াবো আমি
নরম হাতের চড় খেয়েছি কতবার।
দ্যাখো, তোমার গাল থেকে গন্ধ ভেসে আসছে
আমি গর্ব করে বলতে পারি নরম হাতে চড় খেয়েছি
Post a Comment